নার্সিং ভবিষ্যত

Nursing is a noble profession.
আজকে সোমবার যারা নার্সিংয়ে পড়ে তাদের উপর দিয়ে যে এত বড় একটা জ্বড় বয়ে যাবে তা অজানা ছিল। আজকের দিনটা অনেক ভাল ছিল তাই সকাল থেকেই আমার পরিকল্পনা ছিল একটু বাইরে ঘুরাঘুরি করার। তাই সকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া অনু্যায়ী দুপুরের দিকে বড় ভাইয়ের সাথে কৃষি ভার্সিটির দিকে ঘুরাঘুরির জন্য বের হয়ে যায় বাইক নিয়ে।। সেখানে যাওয়ার পরেই শুনতে পারি আমাদের ব্যাচ এর নার্সিং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জ্বড় বয়ে যাচ্ছে। আমিও জানতাম না আজকে যে আমাদের জ্বড় বয়ে যাবে হইতো অনেকের কাছেই অজানা ছিল। আমি সবে মাত্র ভার্সিটি গিয়ে ঠান্ডা কিছু জিনিস খাওয়ার সাথে সাথে বসে বসে পরিবেশটা উপভোগ করছিলাম। তখন ভাবলাম মোবাইলের ডাটা একটু অন করি।যখনি ডাটা অন করলাম তখনি আমার মোবাইলে থেকে মেসেঞ্জারের তীব্র আওয়াজ,,  এত মেসেজ আসছে যে মেসেজ সিন করলেও কোন উত্তর দিতে পারছিলাম না তাই মোবাইলটা সাইলেন্ট করে পাচ থেকে দশ মিনিট রেখে দিয়েছিলাম পরে যখন আবার মেসেঞ্জার চেক করে দেখলাম তখন দেখি আমাদের নার্সিয়ের জন্য একটা অনেক বড় দুঃসংবাদ।এতক্ষন যে জ্বড়ের কথা বলছিলাম সে জ্বড় হচ্ছে আমাদের নার্সিংয়ের রেজাল্ট। আজকে যে রেজাল্ট ছিল তা শুধু আমার কাছে নয় আমার সহপাঠী প্রায় সবার কাছেই অজানা একটা বিষয় ছিল। 
এইবার আসল কথায় আসি এইটা আমাদের জন্য অনেক বড় জ্বড় কেন,, বাংলাদেশে এত এত ছাত্র ছাত্রী নার্সিয়ে আছে যে পরীক্ষাও দিয়েছে অনেকজন তারমধ্যে পাশ করেছে  ৩১.১০% মাত্র।
এখন হইতো অনেকেই মনে করবে নার্সিয়ে সব খারাপ ছাত্ররা/ছাত্রীরা পড়ে তাই এমন হয়েছে কিন্তু এমননটা ভাবা পুরাটাই ভুল। হতে পারে অনেক ফেইল করেছে কিন্তু অনেক জন পরিশ্রম করে অনেক পড়াশুনা করেও ফেইল করেছে। আমার ধারণা মতে আমরা স্কুল কলেজে যতটুকু পড়াশুনা করেছিলাম আমার মনে হয় তার চেয়ে তিনগুন বেশি পড়াশুনা করেছি আমরা। এবার অনেকের প্রশ্ন হতে পারে তাহলে এত ফেইল কেন। অনেক লম্বা করে লেখা যায় কিন্তু অল্প করে বলছি;
 ১.আমাদের সময় থেকেই প্রথম বোর্ডে পরীক্ষা দেওয়া চালু হয়েছে যা অন্য সময়ের অর্থাৎ অন্যান্য বছরের মত একটু খারাপ করলেও যে পাশ করে দেবে তা নয় এইটা একটা পেশাগত পরীক্ষা তাই কোন ছাড় দেওয়ারও কথা নয়।
২. আমাদের উপরের ব্যাচে যারা ছিল তারা একটু ভাগ্যবান ছিল বটে তারা একটু খারাপ করলেও শিক্ষকদের সুপারিশে পাশ করা যেত কিন্তু বোর্ড পরীক্ষা তার কোন উপায় নাই।
৩. তিন নাম্বার পয়েন্ট খুবই গুরত্বপূর্ণ যারা অন্যান্য তাদের জন্য অর্থাৎ যারা নার্সিংয়ে না পড়ে বলে যে নার্সিং তো খুব সোজা হ্যা এইটা দুই একবছর আগেও ছিল কিন্ত এখন না আরেকটা হচ্ছে যারা বলে নার্সিয়ে পড়েও ফেইল করে কেমন ছাত্র/ছাত্রী,।আসলে আমরা স্কুল কলেজে পড়েছি ১০০ থেকে ৩৩ নাম্বার পাশে তাও অনেকজন ফেইল করত, আবার এখন ভার্সিটিতে  ১০০ থেকে  ৪০ পেলে পাশ কিন্তু নার্সিংয়ে  একদম উপর লেবেলের পরীক্ষা  ১০০ থেকে ৮০ পেলে ভাল আর আমাদের ১০০ থেকে ৬০ পেলে পাশ তার থেকে যদি ১/.৫ কম পায় তাও ফেইল।৪.আরেকদল মানুষ বলবে তাই বলে এত ফেইল ভাবা যাইনা তাদের জন্য
প্রথম বারের মত বোর্ডে পরীক্ষা তার মধ্যে ৬০ এ পাশ কতটুকু পড়লে পাশ করা যায় আপনারাই ধারনা করে নেন।আর হ্যা আমরা স্কুল কলেজে সবাই বাংলা মিডিয়ামের ছাত্র ছিলাম এখানে এসে যে ইংলিশে পড়তে আবার লিখতে হবে অনেকজনের কাছেই অজানা ছিল। ব্যাপারটা একটু চিন্তা করেন।। 
৫. অনেক নার্সিং প্রতিষ্ঠান আছে যারা পাশের দিক দিয়ে ১% ২% ০% পর্যন্ত পাশ আসছে। আবার আমাদের প্রতিষ্ঠানের কথায় বলি 33% পাশ। কিন্তু যেভাবে পড়াশুনা করেছি ওইরকম চিন্তা করলে আর রেজাল্ট দেখা মতে প্রায় সবাই পাশ। কারণটা হচ্ছে যারা ফেইল করেছে তাদের প্রায় সবাই ১টা বিষয়ে অকৃতকার্য তাও প্রায় সবাই Behavioral Science এ। 
একটু চিন্তা করে দেখেন হইতো কয়েক নাম্বারের জন্যে ফেইল এমন অনেক ছাত্র/ ছাত্রী আছে। আরেকটা কথা  এখানে যতকিছু লেখলাম সবই আমার মতে, ভুল হলে সংশোধন করে দিবেন, ধন্যবাদ--- প্রত্যয় নকরেক.

Comments

Popular posts from this blog

সফল হওয়ার জন্য যা দরকার