Posts

Showing posts from March, 2020

দশ বছর পর আবার সেই গজনি অবকাশ দেখা

Image
গজনী অবকাশ ভ্রমণপিয়াসুদের জন্য অন্যতম একটা স্থান।ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে তত্কালীন শেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শেরপুর জেলা সদর থেকে ২৮ এবং ঝিনাইগাতি উপজেলা সদর থেকে আট কিলোমিটার উত্তরে কাংশা ইউনিয়নের গজনি পাহাড়ের প্রায় ৯০ একর পাহাড়ি টিলায় ‘গজনি অবকাশ কেন্দ্র’ নামে একটি পিকনিক স্পট গড়ে তোলা হয়। এ অবকাশ কেন্দ্রে দেশের প্রায় সব জেলা-উপজেলা থেকেই ভ্রমণপিপাসুরা ভিড় জমায়।অনেক বছর আগে গজনী অবকাশে একবার যাওয়া হয়েছিল আবার সেই দশটি বছর পর আমার গজনি অবকাশে যাওয়া। গত দশ বছর আগে যখন গজনী অবকাশে যাওয়া হয়েছিল সময়টা ঠিক মনে নেই কিন্তু ২০০৮ অথবা ২০০৯ হবে। তখন খুব ছোট ছিলাম এতটা অনুভুতিশীল ছিলাম না। পরিবেশের সৌন্দর্য তেমন উপভোগ করার সামর্থ্য ছিল না।সেই সময়ের কথা যেটুকু মনে আছে এবং সেই সাথে এখনখার গজনী অবকাশ একটু সহভাগিতা করছি।২০০৮/২০০৯ যখন গজনী অবকাশে যাওয়া হয়েছিল তখন এত কিছুর স্থাপত্য ছিল না তবে দেখার মত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছিল।প্রাকৃতিক অরণ্যের সৌন্দর্য সবার মনটা যেন কেড়ে নেয় আর যদি ওয়াচ টাওয়ারে উঠে ভারতের দিকে তাকানো হয় গাছগাছালিতে ভরা  দৃশ্যতে যেন প্রাণ জুরিয়ে যায়। উচু নিচু পাহাড়ে ঘেরা এই গ

কলেজ জীবনের কিছু কথা

Image
প্রত্যয়,ফ্রাংকেল,মর্নিং। 📷অনন্ত আমার কলেজ জীবন শুরু হয় আলমগীর মনসুর (মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজে। আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই প্রিয় কলেজে কিন্তু কলেজটাকে কিছু দিতে পেরেছি কি না তা বলতে পারছি না।।এই কলেজের প্রতি আমি অনেকভাবে ঋনী। আলমগীর মনসুর (মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত একটি কলেজ। ২৪ জানুয়ারি ১৯৬৯ সালে পুলিশের গুলিতে শহীদ আলমগীর মনসুর মিন্টুর নামে এই কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। আমার কলেজ যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে।কিন্তু  আমি যে বছর কলেজে ভর্তি হই সে বছরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রথম অনলাইনের মাধ্যমে কলেজ ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করে। অনেকে ভোগান্তি বেশি হয়েছে বলে দাবি জানালেও, আমি ততটা ভোগান্তির সম্মুখীন হয়নি। আমি এবং আমার বন্ধু লিমন আমরা সরাসরি কলেজে ভর্তি হওয়ার সু্যোগ পেয়েছিলাম ।মিন্টু কলেজে আসলে আমার বন্ধু লিমনের কারনেই আসা হয়েছিল তার পূর্বে আমি এই কলেজের নামও জানতাম না। কলেজে প্রথম ক্লাস ছিল ওরিয়েন্টেশন ক্লাস যেখান কলেজের নিয়মকানুন এবং আমাদের পড়ালেখার বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। তখন একজন শিক্ষক বলেছিল তোমাদের এখনি সময় নিজেকে জানা

আমার শিক্ষা সফর

Image
শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্যে পুরো একদিন কাটানো। শিক্ষা  সফরে সবার শিক্ষাটাও এক হই না আর সবার অভিজ্ঞতাও এক রকম হয়না।এখন আমি আমার অভিজ্ঞতা একটু সহভাগিতা করছি,,, সালেসিয়ান সিস্টার্স নার্সিং এর মাধ্যমে আমার সুন্দর একটি শিক্ষা সফরের সৌভাগ্য হয়।  আমি আমার শ্রদ্ধেয় গুরুজন সিস্টার লিয়া দ্রং,সিস্টার মেরি রানি, সিস্টার রুবি,সিস্টার কবরি ,সহপাঠী  এবং আমার স্নেহের জুনিয়র ভাই- বোনদের সাথে সকাল ৭টার দিকে রওনা  হই গাজীপুর বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের উদ্দেশ্যে শিক্ষা সফরের জন্যে। বাস ২টা নেওয়া হয়।  বাসগুলো খুব ধীরগতিতে ছাড়া হই,,  শিক্ষা সফরের আসল মজা ত গাড়িতে নাচা-নাচির মাধ্যমেই পাওয়া যায়। আমাদের শিক্ষা সফরটাও তেমনি ছিল সবার সাথে নাচ করা কোলাহলময় একটা পরিবেশ,,  সাউন্ড বক্সের তালে তালে সবার নাচ, সবচেয়ে ভাল লাগার বিষয় হচ্ছে সবার  অংশগ্রহণ করা,,সত্যিই এইটা আমাকে অনেক বেশি আনন্দ দেয়। যতক্ষণ আমরা বাসে ছিলাম ততক্ষনই আনন্দময় পরিবেশ এবং সবার উপভোগ্য পরিবেশ ছিল। ঐখানে আমরা টিক ১০ঃ৩০টায় পৌছায়। মজার ব্যপার হলো বাসে নাচানাচির আনন্দময় উপভোগ্য পরিবেশে থেকে কখন যে পৌছালাম তার কোন হদিসই পেলাম না।পৌছার পর প্রয়োজনীয় কাজ গ

একদিনে চন্দ্রনাথ পাহাড় আর খৈয়াছড়া ঝড়ণা ভ্রমনের সহভাগিতা

Image
 পুনরায় স্মৃতিচারণ একদিনে চন্দ্রনাথ পাহাড় আর খৈয়াছড়া ঝড়ণা। আমাদের খরচ ছিল জনপ্রতি ১৫০০ টাকার মত! বর্তমানে ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম আলোচিত জায়গার একটি চন্দ্রনাথ পাহাড়। তার থেকে ৩০-৪০ মিনিটের দূরত্বে খৈয়াছড়া ঝড়ণা। আমি ৭-৭-২০১৮ইং তারিখে গিয়েছিলাম! চন্দ্রনাথ যাত্রাঃ আমরা গিয়েছিলাম ৫ জন। যাত্রাশুরু হয় মিরপুর ১২থেকে। রাত ১১:১৫ এর বাস টিকেট ৪৮০ টাকা জন প্রতি টিকেক কেটে নিই ঢাকা থেকে সীতাকুন্ডের। কমলাপুর থেকেও রেল দিয় যাওয়া যায় জন প্রতি ১২০ টাকা তবে সিট পাওয়ার জন্য বেশ বেগ হবে। সকাল টিক ৬:০০টায় পৌছে যাই সীতাকুন্ড স্টেশনে। বাস থেকে নেমে আমরা সীতাকুন্ড বাজারে যাই। সেখান থেকে নাস্তা করে জনপ্রতি ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে সিএনজিতে করে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকি মন্দিরে ঘেরা রাস্তা দিয়ে। সিএনজি থেকে নেমে ১০ টাকা ভাড়ায় বাঁশ নিয়ে যাত্রা শুরু করি ১২০০ ফুট উচ্চতার চন্দ্রনাথ পাহাড়ে। পাহাড়ে ওঠার আগে অবশ্যই ১ লিটার পানি, স্যালাইন, আর শুকনো খাবার প্রত্যেকের ব্যাগে রাখবেন, উপরে খাবারের দাম ডাবল। কিছুক্ষণ ওপরে ওঠার পর দেখা যায় ছোট্ট একটি ঝড়ণা, ঝড়ণার পর দুই দিকে  # দুটো_রাস্তা ! হাতের ডান পাশে দেখা যযায় সিঁড়ি