যেভাবে দিন যাচ্ছে লক ডাউনে



আমি আপনি সবাই জানি অতিরিক্ত কিছুই ভাল না অতিরিক্ত কিছু সবারও ভাল লাগেনা। তেমনি আমারা যে করোনা ভাইরাসের সুবাদে এত্ত এত্ত মানে অনেকগুলো ছুটি পেয়েছি তা হইতো সারাবছরের ছুটির চেয়ে অনেক তারপরও আরও ছুটি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। অতিরিক্ত ছুটি পেয়ে প্রায় সবারই একঘেয়েমি ভাব এসে গেছে কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আছেন যারা সমাজে সেবায় নিয়োজিত আছেন তাদের কথা বাদই দিলাম তারা সমাজের জন্য অনেক কষ্ট করছে শুধু কষ্ট  নয় তারা নিজেকে অনেক অনেক ত্যাগস্বীকার করছে।এখন বলি আমি আপনি কেমন দিন কাটাচ্ছি,,, আমরা অধিকাংশ মানুষই আছি যারা কিছুই করার নেই ভাল্লাগে না এরকম হয়ে বসে আছি। সারাদিন মোবাইলে সময় ব্যয় করছি,বন্ধুদের সাথে অনলাইনে আড্ডা দিচ্ছি,কেউ সারাদিন টেলিভিশন দেখে সময় পার করছে,কেউ কেউ আছেন যারা অনলাইনে নিউজ অনবরত পড়েই চলেছে লক ডাউন শেষ হওয়ার সংবাদ পাওয়ার জন্যে এবং করোনা সম্পর্কে  বিভিন্ন সংবাদ, এই লক ডাউনেও কেউ কেউ অনলাইনে ক্লাস করছে। সবকিছু এখন প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গেছে তাই একঘেয়েমি চলে আসছে। তার কারন হচ্ছে বাড়িতে বন্ধির মত থাকায় আমরা অভ্যস্ত না।তবে অনেক মানুষ আছেন যারা ব্যস্ততার সাথে সময় পার করছেন। তাদের ভাল্লাগে না ভাব একটু কমই লাগে। এখন অনেকজনের এমন অবস্থা হয়েছে যে,কি ভাল লাগে তাও ভুলে যাচ্ছে, এখনতো মোবাইল ব্যবহার করতেও ভাল লাগে না মোবাইল ছাড়াও ভাল লাগেনা এমন একটা পরিস্তিতি।এখন আমার অভিজ্ঞতাও সংক্ষেপে বলি,, সবার যেমন একঘেয়েমি লাগে আমার কাছেও তার বিপরীত কিছু লাগেনা। একঘেয়েমি ভাবটা দূর করার উপায় হচ্ছে নিজেকে ব্যস্ত রাখা তার সাথে একটু করে বিরতি নেওয়া। এই কয়েকদিনের অভিজ্ঞতায় মোবাইল ব্যবহার ব্যাপকভাবে করায় এখন মোবাইল ধরতেও ভাল লাগেনা এমন হয়ে গেছে।তাই একটু বই পড়ার দিকে মন দিলাম তবে আমাদের পাঠ্যবই না উপন্যাস, রুপকথার গল্প,অনুপ্রেরণামূলক বই পড়া শুরু করি তখন লক্ষ্য করলাম সারাদিন কেমন করে চলে যাচ্ছে তার কিছুই বুঝা যায়না।। তবে সারাদিন বই পড়ার ফাকে ফাকে একটু বিরতি নিয়েছি। যখন নতুন উদ্যমে পড়া শুরু করেছি তখন লক্ষ্য করলাম বই পড়ার মধ্যে আরও বেশি মনোনিবেশ করতে পেরেছি। এখন আমার লক ডাউন বই পড়ার মাধ্যমেই চলে যাচ্ছে। তবে হ্যা পাঠ্যবই নামক বইটা থাকলেও কেন জানি তা পড়া হয়না। নতুন নতুন বই পড়া নতুন নতুন কিছু বিষয়ে জানতে পেরে ভাল লাগাও কাজ করে। বই পড়ারও কারোর পছন্দের কিছু বই থাকে,, যা হইতো সবার কাছে থাকেনা সেক্ষেত্রে অনলাইন থেকে বই ডাউনলোড করেও মোবাইলে পড়া যায় আবার অনেকগুলো মোবাইলে অ্যাপস আছে যার মাধ্যমে অনেকগুলো বই একসাথে বই পড়ার জন্য পেতে পারেন। এই লক ডাউনে  একটু হলেও আমার উপকার হয়েছে তা হল বই পড়ে  নতুন কিছু জানতে পেরেছি। আপনার যদি ভাল লাগে আপনিও করে দেখতে পারেন বই পড়ে নতুন কিছু শিখতে পারবেন।সারাবিশ্বে এই লকডাউনে যেমন অনেক অনেক ক্ষতি হচ্ছে  তেমনি সেখান থেকে কিছু ভাল দিক গুলোও খুজে বের করতে পারি, যেমন;
★ নিজের পছন্দের কাজ করতে পারছেন,বিরক্ত করার মানুষ থাকেনা।
★ বেশি বেশি বই পড়তে পারেন।
★ পরিবারকে বেশি করে সময় দিতে পারছেন।
★ মুভি বেশি করে দেখতে পারছেন।
★ আমাদের ব্যস্ত জীবনটাই ভাল ছিল সেইটা উপলব্ধিও করতে পারছি।
★ অনলাইনে দক্ষতা বাড়ানোর কাজ করতে পারবেন।
★ অনেকগুলো ভাল দিক আছে যা সামান্য কিছু বল্লাম।
এখন আমাদের ভাল খারাপ থেকে ভালোর দিকে ফোকাস করলে লক ডাউন মনেই হবেনা।একটা কথা বলে শেষ করতে চাই লক ডাউন সময়টা কাজে লাগান ব্যস্ত থাকুন,সময় চলে যাবে। আরেকটা কথা আমার লেখার মধ্যে ভুল থাকলে দয়াকরে ক্ষমাদৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ।।।
#সবাই_বাড়িতে_থাকুন
#নিরাপদে_থাকুন

Comments

Popular posts from this blog

সফল হওয়ার জন্য যা দরকার

নার্সিং ভবিষ্যত