পরিকল্পিত দিন মন ভাল রাখতে সাহায্য করে (Experience of collecting garo murphy)

প্রতিদিনের দিনই আমার কিছু একটা করার পরিকল্পনা থাকে সেটা মাঝে মাঝে সফল হয় আবার মাঝে মাঝে হয় না। পরিকল্পনা করার পর কোনো কাজ সফলভাবে করতে না পারলে খারাপ লাগে বটে কিন্তু খারাপ লাগা থেকেও অনেক কিছু শেখা যায় যেমন আমার সারাদিনের পরিকল্পনার একটা অংশ ক্রিকেট খেলা। ক্রিকেটে খেলা কোন কারনে না হলে মনে মনে ভেবে নেয় আমার খেলা হয়ে গেছে আমি ক্রিকেট খেলায় ভাল খেলেছি। মনের এই একটু খানি সন্তুষ্টি সারাদিন আমার মন ভাল রাখতে পারে। ব্যর্থটাও তো একটা চ্যালেঞ্জ সেটাও শিখা যায়। যাইহোক আজকে সফলতার অভিজ্ঞতা বলি। আজকের দিনটা আমার সফল কারণ আমি যা পরিকল্পনা করেছিলাম তাই করতে পেরেছি। আমার এই ক্ষুদ্র সফলতাই আজকে সহভাগিতা,,
 বর্তমান সময় করোনা ভাইরাস যেন ছড়িয়ে না পরে তার জন্য অনির্দিষ্টকালের ছুটি সরকার থেকে ঘোষিত যেটা করোনা ছুটিও বলা যায়। এই সময় লক ডাউনও চলে আমার তেমন কিছু করারও নাই। তাই ছোট ছোট পরিকল্পনা করে সময়টা পার করে দিচ্ছি যেমন টিভি দেখা, মুভি দেখা, একটু বই পড়া, বাগানে একটু কাজ করার, পরিবারের সাথে একটু সময় দেওয়া এইভাবেই যাচ্ছে। আজকে তার তেমন বেশি ব্যতিক্রম না তবে কিছুটা ব্যতক্রিম। সকালবেলা উঠলাম তেমন সকালও না, ঘুম থেকে উঠে  পরিকল্পনা করলাম আজকে দিনটা একটু অন্যরকম হলে ভাল হবে,, তাই সিদ্ধান্ত  নিলাম সকালের নাস্তা করার পর একটা বই পড়ব তারপর দুপুরের পর একটা কাজ করব। বই পড়ার মধ্যে মনযোগ থাকায় তারাতারি সময় চলে যায়। খুব তারাতারি দুপুরে খাওয়ার সময় হয়ে যায় বুঝতেই পারি নি। যাইহোক দুপুরে খাওয়ার পর হালকা বিশ্রাম করে আমার পরিকল্পনায় যে কাজ করার কথা ছিল সেই কাজ করতে প্রস্তুত হয়ে যায়। আমার আজকের অভিজ্ঞতা হল আলু তুলা সেইটা সাধারন তরকারি খাওয়ার আলু নয় তবে অনেকটা বন আলুর মত সেটা শুধু সিদ্ধ করে খেতেই অনেক মজা আবার তরকারি রান্না করেও করেও খাওয়া যায় যেটাকে গারো ভাষায় মান্দি থা বলে থাকে। এই আলু তুলার অভিজ্ঞতা আজকের দিনটা নিয়ে দ্বিতীয়বার। প্রথমে আমি আলু গাছ মানে থা টা সনাক্ত করলাম তারপর চারদিকে কুদাল দিয়ে পাগারের মত কর গর্ত করা শুরু করি। চারদিকে গর্ত গিয়েই আমি অনেক দুর্বল হয়ে যাচ্ছিলাম তাই একটু পানি খেয়ে আবার শুরু করলাম তারপর থা এর মাথা টা সনাক্ত করে সেই থা বরাবর গর্ত করতে থাকলাম উফ!! এত কষ্ট মনে হচ্ছিল খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি। সেই আমি অনেকক্ষন ধরে গর্ত করেই যাচ্ছি কিন্তু সেই থা/আলুর  শেষটা খুজে পাচ্ছিলাম না। মনে মনে চিন্তা করলাম আজকে শেষ করবই গোড়া পর্যন্ত গর্ত করবই, অনেকক্ষন গর্ত করছি কিন্তু শেষটা করতেই পারছিলাম না অন্যরা কেমন করে অতি তারাতারি করে তা নিয়েও আমার তখন বিভ্রান্তি হচ্ছিল। গর্ত করে করে যখন অনেকটা গভীরে যাওয়া হয় তখন মাটি গুলাও এত শক্ত হচ্ছিল মাটি গর্ত করার জিনিসও তেমনটা কিছু করতে পারছিল না জিনিসটার নাম সাপল(খুন্তি) বলা হয় শুদ্ধ নাম ঠিক জানা নেই। তারপরও  শেষ দেখার ইচ্ছা অনেক ছিল তাই আস্তে আস্তে গর্ত করতেই লাগলাম। অবশেষে দীর্ঘ দেড় ঘন্টার পর একটা আলুর গোড়া পাওয়া যায়। তখন এত এত আনন্দ লাগছিল যে সব কষ্ট ভুলেই গিয়েছিলাম। মান্দি থা ( গারো আলু ) একসাথে অনেকগুলো হয় একটার গোড়া দেখার পর যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু আলু তুলি তারপর আরেকটা আলু তুলতে গিয়ে দেখি সেইটা আরেকটু গভীরে গেছে তাই আরেকটু কষ্ট করে গর্ত করি তারপর আর কষ্ট করতে হয়নি একসাথেই তখন অনেকগুলো আলু পাওয়া যায়।  দুই ঘন্টা পরিশ্রমের পর যতটুকু আলু তুলেছি তা কষ্ট উপভোগ করার চেয়ে মনে হয় আনন্দতাই বেশি উপভোগ্য ছিল।

মান্দি থা

ধন্যবাদ😍

Comments

Popular posts from this blog

সফল হওয়ার জন্য যা দরকার

নার্সিং ভবিষ্যত